Ticker

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

বাংলাদেশ পুলিশের ট্রেইরি রিক্রটমেন্ট কনস্টেবল পদে নিয়োগ প্রার্থীদের প্রস্তুতির সুবিধার্থে-

 #বাংলাদেশ_পুলিশ


বাংলাদেশ পুলিশের ট্রেইরি রিক্রটমেন্ট কনস্টেবল পদে নিয়োগ আগ্রহী প্রার্থীদের প্রথমে অনলাইনে আবেদন করতে হবে।

আবেদন করার জন্য এই ওয়েব সাইটে প্রবেশ করতে হবে। 

http://police.teletalk.com.bd/

  • আবেদন করার সময় খেয়াল রাখতে হবে প্রতিটি তথ্য যেন সঠিক ও নির্ভূল হয়।
  • প্রার্থীর উচ্চতা, বুকের মাপ, ওজন প্রতিটি তথ্য অবশ্যই সঠিকভাবে দিতে হবে।
  • খেয়াল রাখতে হবে কোন ভূল তথ্য দিলে পরবর্তীতে কখনো আর পুলিশের কোন পোস্টে আবেদন করার সুযোগ থাকবে না। 
পুলিশে যারা উর্ত্তীর্ণ হতে চায় তাদের নিম্ন বর্ণিত ধাপগুলোতে উর্ত্তীর্ণ হতে হবে-

ধাপ ১: প্রিলিমিনারি স্ক্রিনিং
ধাপ ২: শারীরিক মাপ, কাগজপত্র যাচাই ও PET
ধাপ ৩: লিখিত পরীক্ষা
ধাপ ৪: মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষা
ধাপ ৫: প্রাথমিক নির্বাচন
ধাপ ৬: স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও পুলিশ ভেরিফিকেশন
ধাপ ৭: চূড়ান্তভাবে প্রশিক্ষণে অন্তভূক্তকরণ।

ধাপ ১: প্রিলিমিনারি স্ক্রিনিং 

  • এই ধাপে যারা অনলাইনে আবেদন করবে তাদের আবেদন সঠিক আছে কিনা তা কম্পিউটার স্ক্রিনিং করে নিরুপন করা হবে। তারপর উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মোবাইলে SMS পাঠানো হবে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করার জন্য। আবেদনকারি ID ও Password ব্যবহার করে ২কপি প্রবেশপত্র (Admit Card for Physical Endurance)  ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে নিবে। মনে রাখতে হবে- অবশ্যই ২কপি।
  • Admit Card এর ২কপি ব্যতিত কোন ভাবেই শারীরিক সক্ষমতা যাচাই পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে পারবে না।
ধাপ ২: শারীরিক মাপ, কাগজপত্র যাচাইকরণ ১ম দিন-
  • এই পর্যায়ে অংশগ্রহনের জন্য আগ্রহী প্রার্থীকে ২কপি Admit Card for Physical Endurance ও নিম্নে বর্নীত কাগজপত্রাদি সঙ্গে নিয়ে আসতে হবে। 


  • নির্ধারিত ভেন্যুতে প্রবেশের পর প্রথমেই শারীরিক পরিমাপে অংশগ্রহণ করতে হবে।
  • তারপর বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত ওজন ও পুরুষ প্রার্থীর ক্ষেত্রে বুকের মাপ নেওয়া হবে। এরপর প্রার্থীর ডকুমেন্ট যাচাই করা হবে।
  • সব সঠিক থাকলে প্রার্থীকে যোগ্য বলে চিহৃিত করে Admit Card for Physical Endurance test পরীক্ষার জন্য উত্তীর্ণ ঘোষণা করে ১কপি প্রার্থীকে দেয়া হবে। Admit Card for Physical Endurance test এর সময়সূচী জানিয়ে দেয়া হবে।
শারীরিক সক্ষমতা যাচাই ২য় দিন-

  • পরবর্তী দিন Admit Card for Physical Endurance test এর কপিসহ কাগজপত্র পুনরায় যাচাই করে প্রার্থীদের ব্রিফিং করা হবে।
  • শারীরিক সক্ষমতা যাচাইয়ের ইভেন্ট শুরুর পূর্বে প্রার্থীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ আছেন মর্মে ইনডেমনিটির ঘোষণাপত্র নিয়োগ কমিটির নিকট জমা দিতে হবে। প্রার্থী ইভেন্টে অংশগ্রহনের পূর্বেই এই ঘোষণা বাধ্যতামূলক।

শারীরিক সক্ষমতা যাচাই পরীক্ষা মোট ৭টি ইভেন্টে অনুষ্ঠিত হবে-
  • প্রথম ইভেন্ট:- দৌড়



পুরুষ- ২০০মিটার ২৮সেকেন্ড
মেয়ে- ২০০ মিটার ৩৪ সেকেন্ড

প্রথম ইভেন্টে উত্তীর্ণ প্রার্থীগণ ২য় ইভেন্টে অংশগ্রহণ করতে পারবে। কেউ উত্তীর্ণ হতে না পারলে সেখান থেকেই বাদ যাবে। এভাবে একটি ইভেন্ট উত্তীর্ণ হলেই কেবল পরবর্তীতে ইভেন্টে যেতে পারবে অন্যথায় বাদ যাবে।

  • ২য় ইভেন্ট: পুশ আপ

  • পুরুষ ১৫টি- ৩৫সেকেন্ডে
  • মেয়ে ১০টি- ৩০ সেকেন্ডে
৩য় ইভেন্ট: লং জাম্প

  • পুরুষ ১০ ফিট দূরত্ব অতিক্রম করতে হবে।
  • মেয়ে ৬ ফিট দূরত্ব অতিক্রম করতে হবে।

৪র্থ ইভেন্ট: হাই জাম্প

শারীরিক সক্ষমতা যাচাই ৩য় দিন-

৩য় দিনে প্রার্থিকে যথা সময়ে ইভেন্টের নির্ধারিত স্থানে উপস্থিত হতে হবে। আবার ঐ দিনের কার্যক্রম সম্পর্কে ব্রিফিং দেয়া হবে। তারপর ৫ম ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হবে।

পঞ্চম ইভেন্ট: দৌড়

পঞ্চম ইভেন্ট ও দৌড়, তবে এটি অনেক লম্বা একটি দৌড়। তাই প্রার্থীদের উচিত একটি নির্দিষ্ট রেঞ্জে দীর্ঘক্ষণ দৌড়া প্র্যকটিস করা। এই পর্যায়ে পুরুষ প্রার্থীদের ১৬০০মিটার দূরত্ব ৬মিনিট ৩০ সেকেন্ড ও মেয়ে প্রার্থীদেরকে ১০০০মিটার ৬মিনিট সময়ে দৌড়াতে হবে।

ষষ্ঠ ইভেন্ট: ড্র্যাগিং




এই ধাপে পুরুষ প্রার্থীদের ১৫০ পাউন্ড ওজনের টায়ারকে ৩০ফুট সোজা টেনে নিয়ে যেতে হবে এবং মেয়েদেরকে ১১০ পাউন্ডের ওজনের টায়ারকে ২০ফুট সোজা টেনে নিয়ে যেতে হবে।


সপ্তম ইভেন্ট: রোপ ক্লাইমিং




এই ধাপে পুরুষ প্রার্থীদের ১২ফিট রশি বেয়ে উপরে উঠতে হবে এবং মেয়েদেরকে ৮টি রশি বেয়ে উপরে উঠতে হবে।

এ সকল ধাপে উত্তীর্ণ প্রার্থীকে পুনরায় সকল কাগজপত্র জমা দিতে হবে এবং ১২০টাকা টেলিটকের মাধ্যমে লিখিত পরীক্ষার ফি জমা দিবে।

ধাপ ৩: লিখিত পরীক্ষা

নির্দিষ্ট দিন ৪৫ মার্কের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
লিখিত পরীক্ষাতে যে সকল বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিতহবে-
  1. বাংলা
  2. ইংরেজি
  3. সাধারণ গণিত
  4. সাধারণ বিজ্ঞান

ধাপ ৪: মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষা

১৫ মার্কের মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

ধাপ ৪: প্রাথমিক নির্বাচন

উপরোক্ত ধাপগুলোতে প্রার্থী প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হবে।

ধাপ ৫: স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও পুলিশ ভেরিফেকেশন

এরপর প্রার্থীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হবে। প্রার্থীর একটি পুলিশ ভেরিফিকেশন অনুষ্ঠিত হবে।

ধাপ ৬: চূড়ান্তভাবে প্রশিক্ষণে অন্তভূর্ক্তকরণ

সকল ধাপ অতিক্রম করার পর চূড়ান্তভাবে প্রশিক্ষণের অনুমতি দিয়ে পুলিষ ট্রেনিং সেন্টারে পাঠানো হবে।

Post a Comment

1 Comments

  1. অনেক ভালো একটি পোস্ট। যারা পুলিশে জয়েন করতে চায় তাদের জন্য প্রয়োজনীয়। ধন্যবাদ

    ReplyDelete